মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ॥ বানারীপাড়ার সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামে সিদ্দিকুর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পাগল আখ্যা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত তিন দিন ধরে নিজ ঘরের খাটের সঙ্গে পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় সে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক মুন্সী বাড়ির পাশের সন্ধ্যা নদীতে চিংড়ি মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। তার পরিবার জানায় মাঝে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আবার কিছুদিন পরে স্বাভাবিক হয়ে যান।গত এক সপ্তাহ পূর্বে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ৪ দিন পরে বুধবার তাকে উজিরপুর উপজেলার হারতা এলাকার একটি দুর্গা মন্দিরে আরতী নৃত্যরত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সেখান থেকে তাকে তার জামাতা আব্বাস ও শ্যালক আসলাম শরীফ বেদম মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে বানারীপাড়ার ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের বাড়িতে এনে নিজ ঘরের একটি কক্ষে অমানবিক ভাবে খাটের সঙ্গে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখেন। মারধরে তার মাথা ফেটে যাওয়া সহ সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে সে গুরুতর আহত হলেও কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে প্রতিদিন অনেকগুলো ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হচ্ছে।
স্থাণীয়রা অভিযোগ করেন ধর্ম ভিরু সিদ্দিক মুন্সীর টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে সুপরিকল্পিতভাবে জামাতা আব্বাস ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তার উজিরপুরের হারতা গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর সিদ্দিক মুন্সীকে ডেকে নিয়ে দাড়ি কেটে দেওয়া সহ নির্দয় ভাবে নির্যাতন করে পাগল সাজানোর অপচেষ্টা করছে । স্থাণীয়দের দাবী ধর্ম ভিরু সিদ্দিক মুন্সীর মন্দিরে গিয়ে আরতী নৃত্য করার প্রশ্নই ওঠে না। সে মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এটি এম মোস্তফা সরদার বলেন, নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় শিকল বেঁধে আটকে রাখা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ। ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান এ ব্যাপরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply